তরুণ থেকে বৃদ্ধ চা পছন্দ সবারই। শরীরের ক্লান্তি দূর করে সতেজ রাখতে চায়ের জুড়ি নেই। অফিস বা বাড়িতে দিনের মধ্যে কয়েকবারই খাওয়া হয় চা। কিন্তু একবার বানিয়ে বারবার তা ফুটিয়ে খাওয়া যাবে না। সেটা দুধ চা হোক বা চা পাতা দেয়া রঙ চা। কারণে না জেনে আমরা গরম করে যে চা খাই তা শরীরের জন্য খারাপ। তাছাড়া ফুটপাতের চা কতটা ক্ষতিকর জানলে বুক কেঁপে উঠবে।
চিকিৎসকরা বলছেন, চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন এবং ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। চা পাতা বারবার ফোটানো হলে সেগুলোর মাত্রা বাড়ে। হজমের সমস্যা, বমিভাব, মাথাব্যথা বাড়ে এমন চা খেলে। এমন কি ক্যাফেইনের কারণে হৃৎস্পন্দনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্লান্তি বাড়ে।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট চিকিৎসকদের মতে, একাধিক বার ফোটানো চা খুবই অস্বাস্থ্যকর। চায়ের মধ্যে কিছু উপকারি উপাদান থাকে যা বারবার ফোটানো হলে সেগুলো নষ্ট তো হয়ই, শরীরেরও হয় ক্ষতি। এতে করে গ্যাসের সমস্যাও বাড়ে।
চিকিৎসকরা বলছেন, চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন এবং ট্যানিক অ্যাসিড থাকে। চা পাতা বারবার ফোটানো হলে সেগুলোর মাত্রা বাড়ে। হজমের সমস্যা, বমিভাব, মাথাব্যথা বাড়ে এমন চা খেলে। এমন কি ক্যাফেইনের কারণে হৃৎস্পন্দনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে ক্লান্তি বাড়ে।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট চিকিৎসকদের মতে, একাধিক বার ফোটানো চা খুবই অস্বাস্থ্যকর। চায়ের মধ্যে কিছু উপকারি উপাদান থাকে যা বারবার ফোটানো হলে সেগুলো নষ্ট তো হয়ই, শরীরেরও হয় ক্ষতি। এতে করে গ্যাসের সমস্যাও বাড়ে।
ফুটপাতের চা কতটা ক্ষতিকর জানলে বুক কেঁপে উঠবে
চায়ের দোকানে দেখা যায় চা বিক্রেতা চা বারবার ফুটিয়ে থাকেন। ঝামেলা কমানোর জন্য একবারে অনেকটা চা করেন। পরবর্তী তা বারবার ফুটিয়ে ক্রেতাকে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এভাবে তৈরি চা পান করলে শরীরে বিশাল ক্ষতি হয়। যা কেউ হয়তো না জানার কারণে দোকানে চা খেয়ে থাকেন। তাই দোকানে চা খেতে সবাই সাবধান হতে হবে। বারবার ফোটানো চা পান করলে কী ক্ষতি হয় এবং সেই সংক্রান্ত কিছু সতর্কতা সবার জেনে রাখা উচিত।
ক্ষতিকর বিষয় গুলো হল:
- খাদ্য গবেষকরা মনে করেন, বারবার
- গরম করা চা পান করলে খাদ্যনালীতে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। দুই মিনিটের বেশি সময় ধরে চা গরম করা হলে চায়ে থাকা ক্যাফিন ও ট্যানিন দুটোই নষ্ট হয়ে যায়।
- একই চা বারবার ফোটালে পাতায় মিশে থাকা কীটনাশক চায়ের মধ্যে দ্রবীভূত হতে শুরু করে। চায়ের মাধ্যমে তা শরীরে প্রবেশ করে।
- চা ও দুধের মধ্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাস থাকে, যা গরম করলে বৃদ্ধি পায়। ব্যাকটেরিয়াযুক্ত চা দীর্ঘদিন খেলে চোখের গ্লুকোমায়, স্নায়ুতে প্রভাব ফেলে। এতে স্মৃতিশক্তি, দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে।
- চায়ের মধ্যে থাকে উপকারী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ক্যাথেচিন। দুধে থাকে কেসিন জাতীয় প্রোটিন। দুধ মিশিয়ে চা বারবার গরম করলে ক্যাথেচিন ও কেসিন মিশে গিয়ে চায়ের উপকারিতা নষ্ট করে।
চা পান করার সময় যে বিষয়গুলোতে সতর্ক থাকবেন
- বারবার একই চায়ের পাতা দিয়ে তৈরি করা চা পান নয়।
- এক থেকে দেড় মিনিটের বেশি চা ফোটানো চলবে না।
- প্লাস্টিকের কাপে গরম চা একদমই খাওয়া যাবে না।
- অল্প গরম চা পান করলে পেটের সমস্যা, গ্যাস ও আলসারের সমস্যা নিরাময় সম্ভব।
- বারবার ফোটানো গরম চা পান করলে দীর্ঘদিন ধরে ঘুম না হওয়ার সমস্যা হয়।
- খালিপেটে কখনও চা পান করতে নেই। খাবার খাওয়ার ২০-২৫ মিনিট আগে থেকে চা পান করবেন না। এতে বদ হজম হয়।
- কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে বা পরে চা খাওয়া যাবে না। চায়ে থাকা ট্যানিন ওষুধের গুণাগুণ নষ্ট করে দেয়।