পুরুষদের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য যৌন সমস্যা হলো ভেরিকোসিল (Varicocele)। স্পার্মাটিক কর্ড বা রেত্রজ্জু, এপিডিডায়মিস বা অন্ডকোষের উপরিস্থিত কেচোর মত লম্বা বস্তু - ইহাই উক্ত উৎপাদক নাড়ী এবং টেস্টিকেলের (কোষের) শিরা সমূহ স্ফীত হয় এবং গাট গাট মত হয়ে ফুলে উঠে, আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলে যেন একটা কেচো কুন্ডলির মত পাকিয়ে আছে মনে হয়। সোজা ভাবে শুয়ে থাকলে ও চাপ দিলে ইহা ক্ষুদ্র হয়ে যায় এবং খাড়া হয়ে দাড়ালে পুনরায় বৃদ্ধি পায়। অধিকাংশ স্থলে এই পীড়া বাম দিকেই অধিক দেখা যায় কারণ বাম দিকের স্পার্মাটিক কর্ড ডান দিক অপেক্ষা অধিক লম্বা এবং অধিক জড়ানো থাকে। এছাড়া বাম দিকে এসগময়েড ফ্লেক্সরে অধিক পরিমান পানি জমে থাকলে তার চাপেও বাম দিক আক্রান্ত হয়।
এই রোগে কোনো কোন ক্ষেত্রে আদৌ যন্ত্রনার উদ্রেক করে না আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভয়াভহ যন্ত্রনার সৃষ্টি করে থাকে। এক প্রকার টানা হেচড়ার মত বেদনা কোমর থেকে প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। এই বেদনা হাটাচলা করলে, দাড়ালে এবং গরম কালে অধিক অনুভূত হয়।
যে সকল পুরুষ অধিক কামাশক্ত অথবা যারা অত্যধিক হস্তমৈথুন করে তারা যদি হঠাত এই অভ্যাস ছেড়ে দেয় কিন্তু কাম চিন্তা ত্যাগ করতে না পারলে এপিডিডায়মিসের উপর দিকে স্পার্মাটিক কর্ড এর মধ্যে বীর্য ধীরে ধীরে সঞ্চিত হয়ে স্ফীত হয়ে উঠে। ইহাতে কোষ উপর দিকে আকৃষ্ট হয়, স্ফীত হয় এবং স্পর্শ করলে, দাড়ালে বা হাটাচলা করলে বেদনার উদ্রক হয়। লিঙ্গ অর্ধবক্র হয়, এই অবস্থায় কিছুক্ষণ বা কিছুদিন থাকার পর ধীরে ধীরে ঐ স্ফীত ভাব কমে আসে এবং কখনো আবার বৃদ্ধিও পেতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত ভেরিকোসিলে পরিনত হয়। ইহার ফলে পুরুষাঙ্গ কখনো শক্ত ও সোজা হয়, কখনো বা বাকা হয়ে থাকে এবং এটা রাত্রেই বেশি হতে দেখা যায়। ইহাতে রোগী অনেক যন্ত্রনাও ভোগ করে থাকে।
ভেরিকোসিল (Varicocele) এর অত্যন্ত কার্যকরী এবং আরোগ্যকারী হোমিও চিকিত্সা রয়েছে। একজন ভালো হোমিওপ্যাথ রোগীর সবগুলি লক্ষণ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে সঠিক ঔষধ নির্বাচন পূর্বক যথাযথ ট্রিটমেন্ট দিলেই ভেরিকোসিল অনায়সে নির্মূল হয়ে যাবে। তবে এই সময় উগ্র মসলা যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা উচিত নয়। হালকা অথচ পুষ্টিকর খাদ্যই গ্রহণ করা শ্রেয়। কোনো প্রকার মদ্য পান বা উগ্র নেশা করা অনুচিত। সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন জামা কাপড় ব্যবহার করতে হবে। রাত্রি জাগরণ এবং অসৎ সঙ্গে মেলামেশা করা আদৌ উচিত নয়।
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই উত্তেজক এলোপ্যাথিক, হারবাল, কবিরাজি ঔষধ খেয়ে খেয়ে ভয়াবহ যৌন সমস্যা ডেকে আনছে এক শ্রেণীর পুরুষ। আজ আমরা জানবো যৌন দুর্বলতা থেকে উত্তরণের উপায় এবং এর চিকিৎসা সম্পর্কে।
আজ থেকে ৫/৭ বছর আগেও দেখা যেত রাস্তাথাকে নানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রি করা হত যেগুলিতে নানা প্রকার ক্ষতিকর উপাদান মিশ্রিত থাকার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য সেগুলি One Time রেজাল্ট দিলেও যারা বার বার সেগুলি খেয়ে যেত তারা একসময় যৌন ক্ষমতায় অক্ষম পর্যন্ত হয়ে যেত।
আজকাল দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ হারবাল, প্রাকৃতিক, নেচারাল নাম দিয়ে নানা প্রকার যৌন উত্তেজক ঔষধ প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেট এবং ইউটিউবে। আর সেগুলি দেখে দেখে লোভে পড়ে এক কোমলমতি তরুণরা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এই গুলি গোপনে দোকান থেকে কিনে কিনে খেয়ে চলেছে। যার কারণে এক সময় দেখা যাচ্ছে তারা লিভার, কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কেউ কেউ যৌন ক্ষমতাহীনও হয়ে যাচ্ছে।
আমাদের কাছে চিকিৎসা নিতে আসা অনেক যুবকদের কেইস হিস্টোরি নিয়ে দেখা গেলো - তাদের অধিকাংশই ইন্টারনেট থেকে এই সব যৌন উত্তেজক ঔষধের নাম জেনে ডাক্তারের কোন প্রকার পরামর্শ ছাড়াই এই গুলি তারা মাসের পর মাস খেয়ে যেত এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতো। একসময় তারা দেখল এই ঔষধগুলি ছাড়া তারা যৌন মিলন করতে পারছে না। কেউ কেউ দেখা গেছে যৌন ক্ষমতায় অক্ষম হয়ে পড়েছেন।
যখন ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হয় সেটাকে চিকিৎসা দিয়ে ঠিক করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তাই আপনাদের বলবো লোভে পড়ে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনও কোনো হারবাল কবিরাজি যৌন উত্তেজক ঔষধ খাবেন না। তাহলে পরিণামে আপনাকেই কষ্ট করতে হবে। তবে আপনার যেকোন প্রকার যৌন সমস্যায় অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ হোমিও চিকিৎসা স্থায়ী এবং হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।
গোপনীয় এক জটিল রোগ গনোরিয়া। আজকে আমরা জানবো গনোরিয়া রোগের কারণ, লক্ষণ, এবং স্থায়ী চিকিৎসা সম্পর্কে। গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত একটি যৌন রোগ৷ সাধারণত মূত্রনালি, পায়ুপথ, মুখগহ্বর এবং চোখ গনোরিয়ার জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে৷ এই রোগ সাধারণত যৌনমিলন থেকে ছড়ায় এবং পুরুষ ও মহিলা উভয়েই আক্রান্ত হতে পারে৷ এক বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই রোগ হয়৷
পুরুষ ও মহিলাদের যেকারো এই রোগ হতে পারে। তাই আসুন জেনে নেই গনোরিয়া রোগের লক্ষণ গুলি কি কি ? পুরুষের ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় সেগুলি হল -
মূত্রনালিতে সংক্রমণ
মূত্রনালি হতে পুঁজের মতো বের হয়।
প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়, জ্বালাপোড়া করে এবং প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷
হাঁটু বা অন্যান্য গিঁটে ব্যথা করে, ফুলে ওঠে
প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় এবং এমনকি জটিল অবস্থায় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷
পুরুষত্বহীন হয়ে যেতে পারে৷
মহিলাদের ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলি প্রকাশ পায় সেগুলি হল -
অনেক সময় মহিলাদের কোনও লক্ষণ নাও দেখা যেতে পারে৷
যোনিপথ আক্রান্ত হতে পারে৷
যোনিপথে এবং মূত্রনালিতে জ্বালা-পোড়া করে৷
পুঁজ সদৃশ হলুদ স্রাব বের হয়৷
তলপেটে ব্যথা হতে পারে৷
ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে৷
এবার আসুন জেনে নেই এই রোগ কিভাবে প্রতিরোধ করবেন -
যৌনমিলনে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
মহিলাদের মাসিকের সময় পরিষ্কার কাপড় এবং প্যাড ব্যবহার করতে হবে৷
স্বামী বা স্ত্রী একজন অসুস্থ হলে দুজনেরই চিকিৎসা করাতে হবে৷
স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কোনও নারী বা পুরুষের সঙ্গে দৈহিক মিলন অনুচিত৷
যৌনমিলনে স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বস্ততা জরুরি৷
লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে লোকাল কোন ডাক্তারের কাছে না গিয়ে অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷ ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে৷ নাহলে পরবর্তী সময়ে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ তবে হোমিও চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে আপনি নিশ্চিত মুক্তি লাভ করবেন ইনশাল্লাহ।
যারা অন্ডকোষে হাইড্রোসিল বা একশিরা সমস্যায় ভুগছেন তারা হয়তো খুঁজে বেড়াচ্ছেন - একশিরা নিরাময়, একশিরা রোগের লক্ষণ, একশিরা কেন হয়, একশিরা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা, একশিরা রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা, একশিরা কিভাবে ভাল হবে, একশিরা হলে কি হয়, একশিরা রোগের হোমিও চিকিৎসা ইত্যাদি....
অণ্ডকোষ বা টেস্টিস হচ্ছে পুরুষ প্রজনন গ্রন্থি যা থেকে শুক্রাণু ও টেস্টোস্টেরণ নিঃসৃত হয়। হাইড্রোসিল এমন একটি অবস্থা যেখানে অণ্ডকোষের চারিদিকে অস্বাভাবিক তরল পদার্থ জমা হয়ে অণ্ডথলিকে স্ফীত করে তোলে। হাইড্রোসিল অণ্ডথলির যে কোনও পাশেই হতে পারে এবং কদাচিৎ দু পাশেই হয়। যদিও হাইড্রোসিল বিশেষ কোনও উপসর্গ তৈরি করে না তবুও বিষয়টি চিকিৎসকের নজরে আনা উচিত। কারণ কখনও কখনও এগুলো অণ্ডকোষের মারাত্মক অবস্থা নির্দেশ করে। অনুমতি ব্যাতিত ডক্টরোলার ব্লগের লেখা কোন অনলাইন বা অফলাইন মিডিয়াতে ব্যবহার করা যাবে না।
হাইড্রোসিল বা একশিরা কাদের বেশি হয় ?
সাধারণ পুরুষের প্রথম ও শেষ বয়সকালে হয়ে থাকে। তবে এটি যেকোনো বয়সেই হতে পারে
প্রায় ১০ ভাগ অপরিপুষ্ট পুরুষ শিশু হাইড্রোসিল নিয়ে জন্মগ্রহণ করে
বয়স্কদের হাইড্রোসিলের সাথে কখনও কখনও অণ্ডথলিতে আঘাতের ইতিহাস থাকতে পারে
কখনও কখনও অণ্ডকোষের ক্যান্সারের সাথে হাইড্রোসিল সহাবস্থান করতে পারে
হাইড্রোসিল বা একশিরার কারণ ও ঝুঁকি
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না,
ইনফেকশন
ক্যান্সার
আঘাত পাওয়া
রক্ত বা অন্যান্য তরল অণ্ডনালীতে আবদ্ধ হওয়া
আমাদের দেশে উত্তরাঞ্চলে ফাইলেরিয়া সংক্রমণের কারণে হাইড্রোসিলের প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় চিকিৎসা
ভেরিকোসিল অপারেশনের পর
হাইড্রোসিল বা একশিরার উপসর্গ
অণ্ডথলি ফুলে যাওয়া
সাধারণত কোনও ব্যথা থাকে না
প্রাপ্তবয়স্করা অস্বস্তি অনুভব করতে পারে
হাইড্রোসিল বা একশিরার রোগ নির্ণয়
শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে হাইড্রোসিল নির্ণয়ের প্রথম ধাপ
আল্ট্রাসাউণ্ড হচ্ছে হাইড্রোসিল নিশ্চিত করার সর্বোত্তম পন্থা
হাইড্রোসিল বা একশিরার চিকিৎসা
শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছরের মধ্যে হাইড্রোসিল আপনাআপনি মিলিয়ে যায়। যদি এক বছর পরও মিলিয়ে না যায় বা আরও বড় হতে থাকে, তাহলে অ্যালোপ্যাথরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হাইড্রোসিল বড় হয়ে অস্বস্তি ঘটালে বা বেঢপ আকৃতির কারণেও অপারেশনের কথা বলেন অ্যালোপ্যাথরা। হাইড্রোসিল নির্মূলে অপারেশনের চেয়ে সফল ও কার্যকর হলো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা। তাই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
গড়ে অধিকাংশ মানুষেরই পাঁচ মিসনটের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায়। তাহলে দ্রুত বীর্যপাত বলতে কী বুঝায়? যদি কোন পুরুষের পুরুষাঙ্গ স্ত্রী যৌনাঙ্গে প্রবেশ করানোর ১ মিনিটের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায় এবং কখনও বীর্যপাত দীর্ঘায়িত করতে না পারেন, তবে তা দ্রুত বীর্যপাতের পর্যায়ে পড়ে।
যৌনমিলনের সময় দ্রুত বীর্যপাত হয়, এমন পুরুষের সংখ্যা কম নয়। শারীরিক সম্পর্কে চরম তৃপ্তি পাওয়ার আগেই শুক্রাণু বেরিয়ে গেলে হতাশ হতে হয় তাদের। অথচ এর শতভাগ কার্যকর ট্রিটমেন্ট রয়েছে হোমিওতে। আপনি যদি অভিজ্ঞ একজন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেন তাহলে এই সমস্যা থেকে খুব শীঘ্রই রেহাই পাবেন।
ম্পত্য জীবনে অসুখী পুরুষের আজকাল অভাব নাই। বর্তমানে অনেক পুরুষ মিলনে স্থায়ী করতে পারেন না।বহু কারণ থাকতে পারে এর পিছনে। যৌন মিলন নিয়ে যারা মানসিক ভাবে দুর্বলতায় ভুগেন তাদের জন্য আজ কিছু টিপস দিচ্ছি আশাকরি আপনার যৌন জীবনের জন্য টিপসগুলো অদ্বিতীয়। প্রথম প্রথম সব মানুষের ক্ষেত্রেই অনভিজ্ঞতা, লজ্জা, নিজের উত্তেজনা কে নিয়ন্ত্রন করতে না পারা ইত্যাদির কারনে এমন টা হতে পারে। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে বিভ্রান্ত হবেন না। সমস্যা হলে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, উপকার পাবেন নিশ্চিত।
পুরুষত্বহীনতা, যৌন অক্ষমতা, ইমপোটেন্স, ইরেকটাইল ডিসফাংশন হলো একজন পুরুষের যৌনমিলন করতে তার পুরুষাঙ্গের উথানের যতটা প্রয়োজন হয়, সেটুকু উথান রাখতে অসমর্থতা। যদিও পুরুষত্বহীনতা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে তরুণ যুবকদের মধ্যেও আজকাল এই সমস্যা ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে। এ সমস্যা যেকোনো বয়সে ঘটতে পারে। তবে মাঝে মাঝে লিঙ্গোথানের এ সমস্যা হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এ অবস্খা চলতে থাকলে তা মনের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং স্ত্রীর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে পারে। এ অবস্খা আত্মবিশ্বাসে ফাটল ধরায়।
পুরুষত্বহীনতাকে আগে বলা হতো ইমপোটেন্স, বর্তমানে একে ইরেকটাইল ডিসফাংশন বলা হয়। এক সময় এটা নিয়ে কেউ আলোচনা করতে চাইত না। যেন এটা নিষিদ্ধ কোনো বিষয়। ধারণা করা হতো এটা একটি মানসিক বিষয় কিংবা বয়স বাড়ার সাথে সাথে এটা একটি প্রাকৃতিক পরিণতি। এসব ধারণা বর্তমানে পরিবর্তিত হয়েছে। এখন জানা গেছে যে পুরষত্বহীনতা মানসিক সমস্যার চেয়ে শারীরিক সমস্যার কারণে সবচেয়ে বেশি হয়, আর অনেক পুরুষের ৮০ বছর বয়সেও স্বাভাবিক লিঙ্গোথান হয়।
যদিও যৌন বিষয় নিয়ে চিকিৎসকের সাথে কথা বলাটা অনেকে লজ্জাজনক মনে করতে পারেন, তবু এ অবস্খার উন্নতি করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে উঁচু মানের একজন হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অধিকাংশ পুরুষের যৌনক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে হোমিও চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কখনো কখনো অন্য কারণ যেমন হৃদরোগ পুরুষত্বহীনতা ঘটায়। সুতরাং পুরুষত্বহীন সমস্যাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিতে হবে। কারণ এটা মারাত্মক স্বাস্খ্য সমস্যার উপসর্গ হতে পারে।
পুরুষত্বহীনতার উপসর্গ
পুরুষত্বহীনতার প্রধান উপসর্গ হলো যৌন মিলনের জন্য পুরুষাঙ্গের পর্যাপ্ত উথানে অসমর্থতা। এ সমস্যা একজন পুরুষের জীবনের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ সময়ে দেখা দিলে সে পুরুষকে পুরুষত্বহীন বলা হয়। অধিকাংশ পুরুষের লিঙ্গোথানে মাঝে মাঝে সমস্যা হতে পারে এবং সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু লিঙ্গোথানের সমস্যা একটানা চলতে থাকলে সেটা পুরুষত্বহীনতার চিহ্ন। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই এর মূল্যায়ন করতে হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতা অন্য স্বাস্খ্যসমস্যার প্রথম চিহ্ন যার হোমিও চিকিৎসা প্রয়োজন।
পুরুষত্বহীনতার কারণ
পুরুষের যৌন উত্তেজনা একটি জটিল প্রক্রিয়া যার সাথে মস্তিষ্ক, হরমোন, আবেগ, স্নায়ু, মাংসপেশি এবং রক্তনালী জড়িত। যদি এসব তন্ত্রের কোনোটি আক্রান্ত হয় কিংবা কোনোটির ভারসাম্য নষ্ট হয় তাহলে পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে।
লিঙ্গোথান সম্পর্কে ধারণা
লিঙ্গে দু’টি সিলিন্ডারের আকৃতি বিশিষ্ট স্পঞ্জের মতো কাঠামো থাকে (করপাস কেভারনোসাম) যা লম্বালম্বিভাবে মূত্রনালীর সমান্তরাল অবস্খান করে। (মূত্রনালী বীর্য ও প্রস্র্রাব বহন করে)। যখন একজন পুরুষ যৌন উত্তেজিত হয়, স্নায়ুর উদ্দীপনা সিলিন্ডারে স্বাভাবিক পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি রক্ত প্রবাহ ঘটায়। এই হঠাৎ রক্তের আগমন স্পঞ্জের মতো কাঠামোকে প্রসারিত করে এবং লিঙ্গকে সোজা ও শক্ত করার মাধ্যমে উথান ঘটায়। অবিরাম যৌন উত্তেজনা লিঙ্গে উচ্চমাত্রার রক্তপ্রবাহ অক্ষুণí রাখে এবং লিঙ্গের বাইরে রক্ত বেরিয়ে যাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। ও লিঙ্গকে শক্ত রাখে। বীর্যপাতের পরে কিংবা যৌন উত্তেজনা প্রশমিত হলে অতিরিক্ত রক্ত স্পঞ্জটির বাইরে চলে যায়, অত:পর লিঙ্গ তার শিথিল আকৃতিতে ফিরে আসে।
পুরুষত্বহীনতার শারীরিক কারণ
এক সময় চিকিৎসকরা ধারণা করতেন পুরুষত্বহীনতার প্রাথমিক কারণ হলো মানসিক। কিন্তু তা সত্য নয়। যদিও লিঙ্গোথানের ক্ষেত্রে চিন্তা ও আবেগ সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে কিছু শারীরিক ব্যাপার যেমন দীর্ঘস্খায়ী স্বাস্খ্যসমস্যা কিংবা কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত পুরুষত্বহীনতা ঘটায়।
পুরুষত্বহীনতার সাধারণ কারণগুলো- হৃদরোগ, রক্তনালীতে প্রতিবন্ধকতা হলে, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্খূলতা এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় সমস্যা। পুরুষত্বহীনতার অন্য কারণগুলো- কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ গ্রহণ, তামাকের ব্যবহার, মদ্যপান ও মাদক সেবন, প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসা, পারকিনসন’স রোগ, মাল্টিপল স্কেরোসিস, হরমোনজনিত অস্বাভাবিকতা যেমন টেসটোসটেরনের মাত্রা কমে যাওয়া (হাইপোগোনাডিজম), পেরোনি’জ রোগ, তলপেটে কিংবা স্পাইনাল কর্ডে অপারেশন বা আঘাত। কিছু ক্ষেত্রে পুরুষত্বহীনতাকে গুরুতর স্বাস্খ্য সমস্যার এক নম্বর চিহ্ন হিসেবে দেখা হয়।
পুরুষত্বহীনতার মানসিক কারণগুলো
যেসব শারীরিক বিষয়গুলো পুরুষাঙ্গের উথান ঘটায় সেসব বিষয়কে উজ্জীবিত করতে মস্তিষ্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে রয়েছে যৌন উত্তেজনার অনুভূতি থেকে শুরু করে লিঙ্গোথান। বেশ কিছু বিষয় যৌন অনুভূতিতে বাধা দিতে পারে এবং এর ফলে পুরুষত্বহীনতা ঘটতে পারে। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে বিষন্নতা, দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ, অবসাদ ও যৌন সঙ্গিনীর সাথে দূরত্ব কিংবা দ্বন্দ্ব। পুরুষত্বহীনতার শারীরিক ও মানসিক কারণগুলো পরস্পরের ওপর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, সামান্য শারীরিক সমস্যা যা যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে দেয়, সেটা মানসিক দুশ্চিন্তা ঘটাতে পারে। আর দুশ্চিন্তার সাথে লিঙ্গোথানের সম্পর্ক রয়েছে। দুশ্চিন্তা মারাত্মক পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে।
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো
বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। এসবের মধ্যে রয়েছে - বুড়িয়ে যাওয়া :- ৭৫ বছর ও তার বেশি বয়সী পুরুষের শতকরা ৮০ ভাগেরই পুরুষত্বহীনতা ঘটে। অনেক পুরুষেরই বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের যৌন কাজে পরিবর্তন শুরু হয়। লিঙ্গ উথান হতে অনেক সময় নিতে পারে, লিঙ্গ তেমন শক্ত নাও হতে পারে কিংবা অনেকক্ষণ ধরে লিঙ্গ স্পর্শ করার পর শক্ত হতে পারে। তবে পুরুষত্বহীনতা স্বাভাবিক বয়স বাড়ার অনিবার্য পরিণতি নয়। পুরুষত্বহীনতা সচরাচর বৃদ্ধ পুরুষদের দেখা দেয়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্খ্যের অবনতি ঘটে কিংবা তারা এমন সব ওষুধ খান যেসব ওষুধ লিঙ্গের উথানে বাধা দেয়।
দীর্ঘস্খায়ী স্বাস্খ্যের অবনতি :- ফুসফুস, লিভার, কিডনি, হৃৎপিণ্ড, নার্ভ, ধমনী বা শিরার অসুখগুলো পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। একইভাবে এন্ডোক্রাইন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বিশেষ করে ডায়াবেটিস পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। আপনার ধমনীগুলোতে প্ল্যাক জমলে (অ্যাথেরোস্কেরোসিস) তা আপনার লিঙ্গে পর্যাপ্ত রক্ত প্রবেশে বাধা প্রদান করতে পারে। কিছু পুরুষের ক্ষেত্রে, স্বল্প মাত্রার টেস্টোসটেরন পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে।
কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন:- কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টি ডিপ্রেসান্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন এবং উচ্চরক্তচাপ, ব্যথা ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো পুরুষাঙ্গের রক্ত প্রবাহে কিংবা স্নায়ুর উদ্দীপনায় বাধা প্রদান করে পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। ট্রাংকুলাইজার এবং ঘুমের ওষুধও একই সমস্যা ঘটাতে পারে।
কিছু কিছু এলোপ্যাথিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক। অনেকে না জেনে এসব ওষুধ ব্যবহার করে ভয়াবহ পরিস্খিতির শিকার হচ্ছেন। এসব ওষুধ প্রেসক্রিপশন ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং রক্তচাপ মারাত্মকভাবে কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যেসব পুরুষ নাইট্রেট সমৃদ্ধ ওষুধ খাচ্ছেন তাদের জন্য এসব তথাকথিত যৌনবর্ধক ওষুধ মারাত্মক বিপজ্জনক।
মাদক সেবন:- অ্যালকোহল, মারিজুয়ানা কিংবা অন্যান্য মাদকের অপব্যবহার সচরাচর পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে এবং যৌন ইচ্ছা কমিয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা:- মানসিক এ অবস্খাগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরষত্বহীনতা ঘটায়।
ধূমপান:- ধূমপান পুরুষত্বহীনতা ঘটাতে পারে। কারণ এটা শিরা ও ধমনীতে রক্তপ্রবাহ কমিয়ে দেয়। যেসব পুরুষ বেশি ধূমপান করেন তাদের পুরুষত্বহীনতা ঘটার আশঙ্কা অনেক বেশি। স্খূলতা:- যেসব পুরুষ অতিরিক্ত মোটা, তারা স্বাভাবিক ওজনের পুরুষদের তুলনায় পুরুষত্বহীনতায় বেশি ভোগেন।
মেটাবলিক সিনড্রোম :-এই সিনড্রোমের মধ্যে রয়েছে পেটে চর্বি জমা, অস্বাস্খ্যকর কোলেস্টেরল ও ট্রাই গ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং ইনসুলিন রেজিট্যান্স।
দীর্ঘ সময় বাইসাইকেল চালানো :- দীর্ঘ সময় বাই সাইকেল চালালে সাইকেলের সিট থেকে নার্ভের ওপর চাপ পড়ে এবং লিঙ্গের রক্ত চলাচলের ওপরও চাপ পড়ে। ফলে সাময়িক পুরুষত্বহীনতা ও লিঙ্গে অসাড়তা দেখা দেয়।
পুরুষত্বহীনতা দূর করার একমাত্র স্থায়ী উপায়
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন? যদি পুরুষত্বহীনতা সাময়িক বা স্বল্পমেয়াদি সমস্যার চেয়ে বেশি হয় তাহলে অবশ্যই অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক আপনার পুরুষত্বহীনতার সঠিক কারণ নির্ণয় করে আপনার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান করবেন। যদিও পুরুষত্বহীনতা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বা লজ্জাকর সমস্যা মনে হতে পারে। কিন্তু এটার হোমিও চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একমাত্র হোমিওপ্যাথিতেই এর স্থায়ী চিকিৎসা রয়েছে।
ভেরিকোসিল (Varicocele) রোগের লক্ষণ অপারেশন এর চিকিৎসা ঘরোয়া ঔষধ হোমিও চিকিৎসা। আমাদের প্রায় সবার মনেই এমন একটা ধারনা কাজ করে যে অন্ডথলিতে একটা কিছু ফুলে উঠাটাই বোধহয় হার্নিয়া, আর হার্নিয়া যদি নাই হয় তবে তো সেটা হাইড্রোসিল হবেই।
আসলে এ দুটোর বাইরে অন্য রোগেও অন্ডথলি ফুলে উঠতে পারে, তেমনই একটা রোগ হলো ভেরিকোসিল (Varicocele)। অন্ডকোষ থেকে যে সকল শিরার মাধ্যমে রক্তপ্রবাহ অপেক্ষাকৃত বড় শিরায় ধাবিত হয় সেই শিরাগুলো বড় হয়ে মোটা হয়ে গিয়েই অন্ডথলিকে ফুলিয়ে তোলে এবং এর নামই ভেরিকোসিল।
এ রোগ হলে রোগীর তেমন কোনো শারীরিক সমস্যা থাকেনা, তবে সবসময় ঐ পাশের অন্ডথলিকে ভারী ভারী লাগে। আন্ডার অয়ার (Underwear) পরা না থাকলে এই অস্বস্তি আরো বাড়তে থাকে। ভেরিকোসিল হওয়া দিকে অন্ডথলিটি একটু বেশী ঝুলে থাকে এবং অস্বাভাবিক দেখায় দেখে অনেকে এই কারনেও চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হন। প্রতিরক্ষা বাহিনী বা পুলিশ বাহিনীতে চাকরি পেতেও অনেকে এর চিকিৎসা করাতে আসেন।
ভেরিকোসিল অপারেশন
ভেরিকোসিল রোগের লক্ষণ
ভেরিকোসিল এর চিকিৎসা
ভেরিকোসিল হোমিও চিকিৎসা
ভেরিকোসিল রোগের হোমিও ঔষধ
ভেরিকোসিল এর ঘরোয়া চিকিৎসা
ভেরিকোসিল হোমিও ঔষধ
ভেরিকোসিল শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই বাম দিকে হয়। যদিও অনেকে দাবী করেন যে এ রোগে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় কিন্ত এখন পর্যন্ত এর স্বপক্ষে কোনো প্রকার প্রমান পাওয়া যায়নি। তবুও ভেরিকোসিল হলে চিকিৎসা করিয়ে নেয়াই উত্তম। এলোপ্যাথিতে এর একমাত্র চিকিৎসা হলো অপারেশন করে দায়ী শিরাগুলোকে তাদের গোড়ায় বেধে দেয়া। তবে অপারেশন করার পরও সমস্যা থেকেই যায়। এর কারণে অপারেশন করেও শান্তি নেই।
স্থায়ী চিকিৎসা
অথচ এই রোগের রয়েছে স্থায়ী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। ৭-১০ মাসের চিকিৎসায় ভেরিকোসিল সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো হোমিও ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।
আজকাল ইউটিউবে দেখা যায় হারবাল কবিরাজী নাম দিয়ে অনেক ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ঔষধের বিবরণ দিয়ে তরুনদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কারণ এইগুলি কৃত্রিম ভাবে কিছুটা সময়ের জন্য পুরুষদের উত্তেজনা সৃষ্টি করে মাত্র কিন্তু যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে তেমন কোন ভূমিকা রাখে না। এই গুলি যারা খায় তারা এক সময় যৌন অক্ষম হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে যে সকল ঔষধ, যৌন উত্তেজক হিসেবে লোকজন ব্যবহার করে থাকে সেগুলির অধিকাংশতেই মারাত্মক ক্ষতিকর কিছু মাদক শ্রেনীর উপাদান মিশানো হয়ে থাকে, যার কারণে যিনি এই সকল ভেজাল ঔষধ ব্যবহার করেন তিনি কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা অনুভব করে থাকেন। কিন্তু এর সুদুর প্রসারী ফলাফল মারাত্মক ভয়াবহ, যা শুনলে আপনি হয়তো ব্যবহার করা তো দুরের কথা সেগুলির দিকে ফিরেও তাকাবেন না। এই ঔষধগুলি আমাদের যুবসমাজকে তিল তিল করে ধ্বংস করে চলেছে। যারা এইগুলি কিছু দিন কন্টিনিউ করেন তারা মারাত্মক কিডনি, লিভার এবং যৌন বিকলতায় আক্রান্ত হন যা তাদেরকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়।
তাই কখনো আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভুল করেও যৌন উত্তেজক ঔষধের দিকে হাত বাড়াবেন না। আজকাল ফেইসবুকে পর্যন্ত কিছু প্রতারক নোংরা কিছু ছবি জুড়ে দিয়ে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে তরুনদের এই গুলি খেতে উত্সাহিত করছে। মনে রাখবেন এই সকল বিজ্ঞাপনে পা দিবেন তো অকালেই আপনি যৌবন হারাবেন, সাথে জীবনটাও অকালে হারাতে পারেন। আসুন আপনার পরিচিত একটি উত্তেজক ঔষধ ভায়াগ্রার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানি, যদিও এটি পুরুষের যৌন ক্ষমতায় কোনো প্রকার ভুমিকাই রাখে না, কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে মাত্র। কিন্তু এর রয়েছে ভয়াভহ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
ভায়াগ্রার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া :-
হার্ট ফেইলুর - হার্ট বিট বেড়ে গিয়ে ধমনি ফেটে যেতে পারে। অর্থাৎ আপনি মারাও যেতে পারেন ,
মাইগ্রেন- অস্বাভাবিক রকমের মাথাবাথা।
চোখ বাঘের মত লাল হয়ে থাকা।
অস্থির - বলা যেতে পারে চরম অস্থির।
অনেক দিন খাওয়ার ফলে প্রস্রাবে ইনফেকশন।
ফোটায় ফোটায় পস্রাব।
ধিরে ধিরে যৌন বিকলাঙ্গ হয়ে যাবেন। ( চ্যালেঞ্জ )
সতর্কিকরণ :- ভায়াগ্রাসহ যাবতীয় যৌন উত্তেজক ঔষধ পরিহার করুন। যৌন সমস্যা হলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা নিতে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের পরামর্শ নিন। বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ হয়ে অথবা নিজ নির্বাচনে কখনো যৌন উত্তেজক ঔষধ খাবেন না।
অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা, মেহ প্রমেহ ও ধাতু ক্ষয়জনিত রোগের শতভাগ কার্যকর চিকিৎসা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে। আমাদের দেশের অধিকাংশ তরুণদের মাঝে যৌনতা বিষয়ক জ্ঞান স্বল্পতা এবং যৌবনকালের শুরুতে নিজ কতৃক বিভিন্ন ভুলত্রুটির ফলে পরবর্তীতে যৌনস্বাস্থ্য জনিত নানাবিধ সমস্যা পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা মূলত মেহ, প্রমেহ, ধাতুঝরা, ধাতু দুর্বলতা, ধাতুক্ষয় রোগ নামে পরিচিত । উক্ত রোগটি সরাসরি বা তৎক্ষণাৎ ভাবে শরীরের উপর কোন প্রকার প্রভাব তৈরি করে না বিধায় উক্ত রোগটির সৃষ্টি সম্পর্কে আক্রান্ত পুরুষ মানবদেহটি সহজে তেমন কিছু অনুভব ও করতে পারে না, কিন্তু উক্ত রোগটি খুব ধীরে ধীরে শরীরের উপর প্রভাব ফেলে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা সম্পুর্ন নষ্ট করে দেয় ।
এক কথায় বলতে গেলে – ইহা নিজে কোন রোগ নয় বরং ইহা অন্যান্য অনেক শারীরিক রোগের সৃষ্টিকারী এবং আমাদের দেশে পুরুষ সমাজের অনেকেই উক্ত রোগের ভুক্তভোগী । আর তাই, আজ আমরা আলোচনা করছি – পুরুষ মানবদেহে উক্ত রোগসমূহ সৃষ্টির কারন, লক্ষন এবং শতভাগ কার্যকরী সমাধানসমূহ সহ পুর্ন বিস্তারিত গাইডলাইন ।
কারণসমূহ
আমাদের দেশের পুরুষদের মাঝে উক্ত সমস্যা সৃষ্টির প্রধান এবং অন্যতম কারণই হল যৌবনকালের শুরুতে অধিক পরিমানে হস্তমৈথুন করা । এছাড়া অল্প বয়সে যৌনতা বিষয়ক অধিক বেশী চিন্তা করা, অধিক বেশী পর্ণ দেখা, অতিরিক্ত বেশী যৌন মিলন করা সহ অনিয়ন্ত্রিত এবং অনিরাপদ যৌনাচার উক্ত রোগসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টির অন্যতম কারন হিসাবে বিবেচিত । পাশাপাশি অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ, অতিরিক্ত মানুষিক দুঃশ্চিন্তা, হজমের গন্ডগোল, শারীরিক পুষ্টির অভাব সহ অন্যান্য আরো নানবিধ কারনে উক্ত সমস্যাসমূহ পুরুষ মানবদেহে সৃষ্টি হতে পারে ।
লক্ষণসমূহ
উক্ত রোগে আক্রান্ত রোগীর শুক্র অত্যন্ত তরল হয়।
রোগী ধীরে ধীরে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং শক্তিহীন ভাব প্রকাশ পেতে থাকে।
দেহের এবং চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়, চেহারার লাবণ্যতা কমে যায়, মুখ মলিন এবং চক্ষু কোঠরাগত হয়ে পরে।
দেহে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিনের প্রবল অভাব পরিলক্ষিত।
রোগীর জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নানা প্রকার রোগে অতি সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দেহে যৌন হরমোন বা পিটুইটারি এড্রিনাল প্রভৃতি গ্রন্থির হরমোন কম নিঃসৃত হয়, যার ফলে দেহে যৌন ক্ষমতা কমে যায় এবং শুক্র ধীরে ধীরে পাতলা হতে থাকে।
দৈহিক এবং মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়, মাথা ঘোরে, বুক ধড় ফড় করে, মাথার যন্ত্রণা দেখা যায়।
আক্রান্ত ব্যক্তি সর্বদাই অস্থির বোধ করে, বসা থেকে উঠলেই মাথা ঘোরে এবং চোখে অন্ধকার দেখে, ক্ষুধাহীনতার ভাব দেখা দেয়।
পেনিস বা পুরুষাঙ্গ দুর্বল হয়ে যায়
প্রসাবের আগে-পরে আঠালো জাতীয় ধাতু নির্গত হয়
সমস্যা ধীরে ধীরে কঠিন আকার ধারণ করলে সামান্য উত্তেজনায় শুক্রপাত হয়, স্ত্রীলোক দর্শনে বা স্পর্শে শুক্রপাত ঘটে এমনকি মনের চাঞ্চল্যেও শুক্রপাত হয়।
পায়খানার সময় কুন্থন দিলে শুক্রপাত হয়।
স্মরণশক্তি কমে যায় এবং বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পায়।
কার্যকর সমাধান বা চিকিৎসা
পুরুষ মানবদেহের জন্য ক্ষয়জনিত সমস্যাসমূহ অত্যন্ত মারাত্মক হিসাবে বিবেচিত, বিশেষ করে আমাদের দেশের তরুন সমাজ এই সকল সমস্যাসমূহের অধিক বেশী ভুক্তভোগী হয়ে থাকে, যা পরবর্তীতে তাদের শারীরিক এবং মানসিক ভাবে দুর্বলতা সৃষ্টি সহ দাম্পত্য জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । আর এর থেকে মুক্তির জন্য সমগ্র পৃথির্বীতে সর্বশ্রেষ্ঠ চিকিৎসা হল হোমিওপ্যাথি। একমাত্র হামিও চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগের যাবতীয় উপসর্গ দূর হয়ে রোগী নব যৌবন প্রাপ্ত হয়ে থাকেন। তবে এর জন্য অবশ্যই রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া জরুরি। কারণ অনেক হোমিও ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার কারণেও বহু রোগী আরোগ্য লাভ করে না। অথচ হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে এর সবচেয়ে কার্যকর ঔষধ এবং রোগ নির্মূলকারী চিকিৎসা।
একজন জানতে চেয়েছেন - আমার বয়স ১৮। আমি তিনবছর যাবৎ হস্তমৈথুন করে আসছি।এখন আমার দ্রুত বীর্যপাত হয়ে যায় হস্তমৈথুনে। এখন যদি হস্তমৈথুন ছেড়ে দিই আমার সমস্যাগুলো সমাধান হবে কি?
উত্তর : দীর্ঘদিন হস্তমৈথুনে করলে এর কিছু কুফল তৈরী হয় যার কিছু কিছু উপসর্গ আগেই প্রকাশ পায় তবে আরো ভালোভাবে বুঝা যায় বাস্তব স্ত্রী মিলনের সময়। তখন যদি সমস্যা হয় তাহলে অভিজ্ঞ কোন হোমিও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নিলেই ঠিক হয়ে যাবেন। কারণ হস্তমৈথুন এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় কুফল দূর করার একমাত্র চিকিৎসা হলো হোমিওপ্যাথি। এটিই এখন সমগ্র বিশ্বে পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত, যৌন অক্ষমতা, পুরুষাঙ্গ উত্থানহীনতা ইত্যাদি দূরীকরণে এক নম্বর চিকিৎসার তালিকায় আছে।
কারণ হোমিওপ্যাথির প্রতিটি ঔষধেই রয়েছে রোগীর - শারীরিক, মানুষিক, চারিত্রিক, স্বভাবগত এবং যে রোগে আক্রান্ত হয়েছে সেই রোগের সুনির্দিষ্ট লক্ষণ। আর তাই তো হোমিওপ্যাথি এত কার্যকর এবং স্থায়ী একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এক্ষেত্রে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক প্রকার লক্ষণ অর্থাৎ লক্ষণের ভিন্নতা থাকলেও অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের এই রোগ স্থায়ী ভাবে সারাতে মোটেও বেগ পেতে হয় না।
তবে রেজিস্টার্ড এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়। যদি কোন হোমিও ডাক্তারের চিকিৎসায় ফল না দেয় তাহলে ডাক্তার পরিবর্তন করুন। কারণ আপনার রোগ ভালো হচ্ছে না এর জন্য ঐ ডাক্তারের ঔষধ এবং ঔষধের পাওয়ার সিলেকশনে ভুল থাকতে পারে। এটা হোমিওপ্যাথির দোষ নয়। আর সব সময় অভিজ্ঞ এবং রেজিস্টার্ড হোমিও চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা নেয়াই হলো অতি উত্তম।
আবার আসি আপনার প্রসঙ্গে - আপনি হস্তমৈথুন ছেড়ে দিন তাতে আপনার মন মানুষিকতা পবিত্র থাকবে। আপাতত এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো, নিজের কাজে কর্মে মনোযোগ দিন। যদি সমস্যা মনে করেন তাহলে প্রয়োজনবোধে বিয়ের কয়েক মাস আগে চিকিৎসা নিতে পারেন। আরো কিছু জানার থাকলে নিচে আমার ফোন নম্বর দেয়া আছে - ফোনে যোগাযোগ করে জেনে নিবেন। ধন্যবাদ।
বিয়ের পূর্বে স্ত্রী অন্য কারো সাথে যৌন মিলন বা সেক্স করেছে কিনা তা বুঝার উপায় কি - ছেলেরাই এই ধরণের প্রশ্ন করে থাকে। আবার অনেক মেয়েও প্রশ্ন করে থাকে - কোনো মেয়ে বিয়ের আগে ২বার সেক্স করলে বিয়ের পর তার স্বামী কি বুঝতে পারে?
এটা আপনার যোনিদ্বারের উপর নির্ভর করবে। দুই বার সঙ্গম করার ফলে আপনার যোনিপথ যদি ফ্রি হয়ে যায় তাহলে আপনার স্বামী বুঝতে বাকী থাকবে না যে আপনি বিবাহের পূর্বে সঙ্গম করেছেন। কেননা কম বেশি সবাই জানে যে প্রথম সঙ্গমে স্বামী–স্ত্রীর উভয়রই কষ্ট হয়। এবং প্রত্যেক ছেলে মেয়ে জানে যে প্রথম সঙ্গমে সতিচ্ছেদ ছেড়ার কারণে সামান্য রক্তপাতও হয়।
আবার অনেক ক্ষেত্রে পূর্বে সঙ্গম না করার কারণেও প্রথম মিলনে রক্তপাত নাও হতে পারে। কেননা খেলাধুলার কারণেও সতীচ্ছেদ ছিড়ে যেতে পারে। এটা যদি আপনার স্বামী জানে তাহলে প্রথমে সন্দেহ নাও করতে পারে কিন্তু এটা যদি সে না জানে তাহলে আপনি প্রথমেই সন্দের তালিকায় চলে যাবেন।
তারপর হচ্ছে কয়েকবার সঙ্গম করার ফলে যোনি পথ ফ্রি হয়ে যাওয়া। প্রথম কয়েকবার মিলনে পুরুষাঙ্গ যোনিপথে চলাচল করতে কিছুটা বেগ পেতে হয় কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর থাকে। তখন যোনি পথ ফ্রি হয়ে যায় যার কারণে যোনিপথে পুরুষাঙ্গ অনায়াসে চলাচল করতে পারে।
এখন এটা যদি আপনার ক্ষেত্রে হয়ে যায় তাহলে আপনার স্বামীকে বুঝতে বাকী থাকবে না কিন্তু এটা যদি আপনার ক্ষেত্রে না হয় তা হলে হয়ত বেঁচেই গেলেন। আর যদি সে বুঝতে পারে তাহলে সংসারে অশান্তি নেমে আসতে পারে। কেননা অবৈধ সম্পর্কের ফলাফল ভালো হয় না সেটা বাস্তবে প্রমাণিত। আপনার যদি ভাগ্য ভালো হয় তাহলে আপনি দুনিয়া যাত্রা থেকে হয়ত রেহায় পেতে পারেন। কিন্তু পরকালে আমানতের খেয়ানত করার জন্য আল্লাহর কাঠগড়ায় আপনাকে জবাব দিহি করতে হবে। সময় তো ফুরিয়ে যায়নি? আল্লাহর কাছে ফানাহ চান নিশ্চয় আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করবেন।
আজকাল যৌন সংক্রান্ত সমস্যায় যত্রতত্র অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ। অনেকে আবার তাৎক্ষণিক ফল লাভের জন্য নানা প্রকার ভেজাল মিশ্রিত হারবাল ঔষধের মাধ্যমে চিকিৎসা নিতে গিয়ে উল্টো নানা প্রকার জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে আক্রান্ত হচ্ছে নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধিতে। অথচ যুগ যুগ ধরে এই উপমহাদেশসহ বিশ্বের কোঠি কোঠি পুরুষ যৌন ও প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিয়ে নির্মল আরোগ্য লাভ করছে এবং দীর্ঘায়ূ ও সুস্থ যৌন জীবন উপভোগ করছে।
কিন্তু এই আধুনিক যুগেও দেখা যায় দেশের শিক্ষিত তরুণরা পর্যন্ত রাস্তাঘাট থেকে অবিশুদ্ধ এবং ভেজাল হারবাল ঔষধ ক্রয় করছে যেগুলি নির্দোষ রোগ আরোগ্যে তেমন কোন ভূমিকা রাখে না।
তরুণরা সধারনত শুক্রতারল্য, শুক্রমেহ এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ সমস্যায় ভুগে থাকে
এই সমস্যাগুলি অত্যন্ত শরীর ক্ষয়কারী ব্যাধি। যারা এই সমস্যায় আক্রান্ত হোন তারা প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ব্যতীত কেবল কিছু নিয়ম কানুন পালন করেই এই রোগের কবল থেকে মুক্তি লাভ করতে পারে না। সাধারণত তরুণ-যুবক এবং বিশেষ করে ছাত্রদের মধ্যেই এই পীড়াগুলির অতিরিক্ত প্রাবল্য দৃষ্ট হয়। এর রয়েছে কিছু বাস্তব সম্মত কারণ।
প্রথম কারণ :- অল্প বয়সে জ্ঞানকেন্দ্র-মস্তিষ্ক স্ফুরণমুখ থাকে, এই জন্য তার একটা তরুণ ভাব থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত অধ্যয়ন ও অনুশীলন জনিত চিন্তা তরঙ্গে সেই তরুন মস্তিষ্ক ধারণশক্তিবিহীন ও দুর্বল হয়ে পড়ে। নিস্তেজ স্নায়ুমণ্ডলীও শুক্র ধারণে অসমর্থ হয়ে পড়ে। তাতেই অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ এবং শুক্রতারল্য রোগের আবির্ভুত হয়।
দ্বিতীয় কারণ :- আহার-বিহার ও স্বাস্থ রক্ষার সাধারণ নিয়ম পালনের ব্যতিক্রম। অক্ষুধায় ও অসময়ে আহার, আহার করিয়াই বিদ্যালয়ে দৌড়ায়া যাওয়া, উপযুক্ত বিশ্রাম ও ব্যায়ামের অভাব এবং হজমশক্তি ও সর্বধাতুর ক্রম পরিণতির ব্যতিক্রমে প্রচুর শুক্র উৎপাদনের অভাব ঘটে। এই অবস্থায় দূর্বল স্নায়ুমন্ডলী অপরিণত তরল শুক্র ধারণ করতে পারে না বলে শুক্রমেহ এবং অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ রোগের সৃষ্টি হয়।
তৃতীয় কারণ :- অতি কদর্য, দুর্বলচিত্ত, কোমলমতি যুবকগণ তরুণ বয়সে নানা প্রকার অস্বাভাবিক (হস্তমৈথন, পুং মৈথন ইত্যাদি) উপায়ে শুক্রপাত এবং অতিরিক্ত শুক্রক্ষয় করে এই রোগের সৃষ্টি করে থাকে। অস্বাভাবিক উপায়ে শুক্রপাতকারীর চঞ্চল চিত্তবৃত্তি এক অস্বাভাবিক রসের জন্য সর্বদা লালায়িত থাকে। সামান্য কারণেই তার কামোদ্রেক হয়ে তরল শুক্র স্থানচ্যুত হয়। ফলে স্বল্প উত্তেজনায় বীর্যপাত, মল ও মূত্রের বেগের সহিত ডিমের সাদা অংশের মতো পিচ্ছিল ও বর্ণহীন শুক্র নির্গত হয়। মূত্রের প্রথম ভাগ শুক্রমিশ্রিত-চূর্ণ বা খুড়িগোলার মতো দেখায়। কখনো কখনো প্রস্রাবের জ্বালা হয়।
এই পীড়ায় বায়ু ও পিত্তের প্রাবল্য হেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে। নিদ্রিত অবস্থায় কাম ভাবোদ্দীপক স্বপ্নদর্শনে শুক্রক্ষরণ হতে থাকে। প্রথমে স্বপ্নদোষ হলে কাপড়ে যে দাগ লাগে তা চটচটে হয় কিন্তু ব্যাধি যত পুরাতন হয় দাগ ততই পাতলা হতে থাকে। এই উৎকট ব্যাধি যতই দীর্ঘ সময়ব্যাপী হয়, ততই ধারণাশক্তির হ্রাস, দেহ শুস্ক ও জীর্ণশীর্ণ, চোখের নিম্নভাগ কালিমালিপ্ত, মনের দুর্বলতা ও চাঞ্চল্য, সর্বদাই গুরুজন হতে লজ্জা ও ভয়, পড়াশোনায় মন স্থির না হওয়া, স্মরণশক্তি হ্রাস ইত্যাদি লক্ষণগুলি প্রবলাকারে প্রকাশিত হতে থাকে। পীড়ার চূড়ান্ত অবস্থায় আমাদের দেশের তরুণ যুবকদের মধ্যে আরো কিছু লক্ষণ দেখা যায় -
প্রস্রাবের সাথে ধাতু ক্ষয়
অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ
প্রস্রাবের আগে বা পরে বীর্য বের হওয়া
সময়ে সময়ে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
পায়খানার সময় সামান্য কুন্থনে বীর্য বের হওয়া
শারীরিক, মানুষিক এবং প্রকট স্নায়ুবিক দুর্বলতা
রতিশক্তির দুর্বলতা এবং দ্রুত বীর্যপাত সমস্যা
পুরুষাঙ্গ দুর্বল বা নিস্তেজ ফলে বিবাহ করতে ভয় ইত্যাদি
সর্বোপরি যৌনক্ষমতাহীন বা ধ্বজভঙ্গ
আদর্শ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
রোগের লক্ষণ বা উপসর্গ যত জটিলই হোক না কেন - এই সমস্যায় আক্রান্ত যে কেউ যদি ধৈর্য ধরে প্রপার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করে তাহলে যাবতীয় সমস্যাবলি দূর হয়ে রোগী পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে এবং দেহে পুনরায় শুক্র, বল, বীর্য লাভ করবে। কারণ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা শত শত বছর যাবৎ সারা বিশ্বে কোঠি কোঠি যুবকদের ক্ষেত্রে পরীক্ষিত এবং প্রমাণিত। আদর্শ হোমিওপ্যাথিক বৈশিষ্ট্য হলো -
হোমিওপ্যাথি হলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত বিশ্বের এক নম্বর প্রাকৃতিক চিকিৎসা